শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড 2022 এর জন্য চারু তারিনের প্রস্তুতি


মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মোঃ মশিউর রহমানের মেয়ে তারিন সুলতানা চিত্রকর্ম সহ বিভিন্ন শিল্পের জন্য তাকে সবাই চারু তারিন বলে চেনে। যার ছোটবেলায় হাতেখড়ি হয় মায়ের কাছ থেকে, নকশী কাঁথা সেলাই করতে দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। তারপর দেখতে দেখতে কেটে যায় অনেক সময় ছোট্ট সেই তারিন সুলতানা এখন তার নিজস্ব ধরণ ও কৌশলের চিত্রকর্মের জন্য সারা বাংলাদেশের চারু তারিন নামে পরিচিত। ছোট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নানা বলে চীনে আসছেন।

চারু তারিনের বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিভায় কৃতকার্য হওয়ার সম্মাননা সনদ
কেননা তারিনের বয়স যখন চার মাস তখন তার নানা না ফেরার দেশে চলে যান। ছোটবেলা থেকে যখনই তারিন নানার ছবি দেখতে চাইতেন বাড়ির সবাই তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি দেখাতেন। সেই থেকেই বঙ্গবন্ধুকে নানা বলে জেনে আসছেন আজও।বঙ্গবন্ধুর ছবি তিনি মনের ভেতরে একে নিয়েছেন যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে রং তুলির আচর সুই সুতা পেন্সিল স্কেচ মাধ্যমে। চারু তারিন হস্তশিল্প সাথে জড়িত আছেন। ইপিলিপি পাতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা ধান দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি ও সুই সুতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি এছাড়াও তিনি সরিষা দানা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকানো প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার জীবনের অন্যতম ইচ্ছা গিনিস বুকে তার চিত্রকর্ম দিয়ে রেকর্ড করা। উল্লেখযোগ্য ইচ্ছা চোখ বন্ধ করে বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকা। চারু তারিনের এই ইচ্ছা পূরণের অনেক কাছে চলে গিয়েছেন তিনি। তার জীবনের অন্যতম স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০১টি আলাদা আলাদা ছবি অঙ্কন করা। বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকার জন্য আলাদা রকমের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায় তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন তার অন্তর থেকে তিনি যখন বঙ্গবন্ধুকে তার নানা হিসাবে জানতেন তখন থেকেই তাঁর বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকানো ব্যাপক আগ্রহ। ইতিপূর্বে চারু তারিনকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় গাংনী মেহেরপুর থেকে স্মারক নম্বর দিয়ে গাংনী পৌরসভা হস্ত শিল্পের সাথে যুক্ত আছেন এবং তার অধীনে ৩৫০ জন যুবক যুবতী কাজ করছেন প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেন ২০১২ সাল হতে চারু ও কলা কার্যক্রম শুরু করে ২০১৯ সালে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে মুজিবনগরে বসে ৯০ দিনে বঙ্গবন্ধুর ১০০ টিরও বেশী ছবি এঁকে উপহার হিসেবে তুলে দিয়েছেন মুজিব প্রেমিকদের হাতে। চারু তারিন কখনো টাকার বিনিময় বঙ্গবন্ধুর ছবি বিক্রয় করেন না তিনি বঙ্গবন্ধুর ছবি আঁকেন নিজের মনের শান্তির জন্য। চারু তারিনের আঁকা ইপিলিপি পাতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবি বেশ জনপ্রিয় মুজিব প্রেমিকদের কাছে। তার এই সুন্দর সৃজনশীল প্রতিভার বেশকিছু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৭ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলা স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন।
একই সালে বিতর্ক প্রতিযোগিতা একক শ্রেষ্ঠত্ব গৌরব অর্জন করেন মেহেরপুরে। তাছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ ঢাকা সনদপত্র শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৮ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বাংলা কবিতা আবৃত্তি করে জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে নেন।
ক্যারিয়ারের জন্য তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সনদপত্র খেতাব অর্জন করে নিন।
এছাড়াও সাহিত্য উৎসব ২০১৮ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের কেস্টি তুলে নেন।
তার মাঝে গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজ পড়াকালীন বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা একাধিক পুরষ্কার প্রথম অধিকারী ছিলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মেহেরপুর থেকেও কৃতিত্বের সনদ নাট্য বিভাগের থেকে অ+ আবৃত্তি বিভাগ থেকেও অ+ উত্তীর্ণ হন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনা ছড়িয়ে দেব বিশ্বব্যাপী
বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব ২০১৮
কবি সুকান্ত সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত হন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯
বাংলা কবিতা আবৃত্তি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবারো শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ বিতর্ক প্রতিযোগিতা বিষয় অংশগ্রহণ করে উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব গৌরব অর্জন করেন।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে স্বরচিত বাংলা কবিতা আবৃত্তি করে শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জেগে ওঠো বাংলাদেশ
জাতীয় কবি সম্মেলন ২০১৯ অভিজ্ঞান সার্টিফিকেট অর্জন করেন।
বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সরিয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু কবিতা উৎসব ২০১৯
স্বরচিত বাংলা কবিতা আবৃত্তি করে শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
মেহেরপুর যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পোশাক তৈরিতে অ অর্জন করেন।
কবি সংসদ বাংলাদেশ স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯ সাহিত্যিক অঙ্গনে কবিতা চর্চার জন্য চারু তারিনকে চিত্রকলায় সনদ প্রদান করেন।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে। গবাদিপশু হাঁস-মুরগী পালন পরীক্ষায় অ উত্তীর্ণ হন।
বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার যুব উন্নয়ন বিভাগ যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে মোবাইল কম্পিউটার প্রশিক্ষণ করছে এ প্লাস উত্তীর্ণ হন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর বিউটিশিয়ান ট্রেনিং এর সাফল্য অর্জন করে। এছাড়াও শিক্ষাজীবনে সে পিছিয়ে নেই ইতিমধ্যে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য ৪৪ তম ব্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এদিকে চারু তারিনকে নিয়ে বাংলাদেশের অনুমোদিত ইলেকট্রনিক মিডিয়া প্রিন্ট মিডিয়ায় অনেক খবর প্রচার হতে দেখা যায়।
তার লেখা বেশকিছু বই প্রকাশিত হয়েছে, আমাদের মুজিবনগর, মজার ছড়া, মজার পড়া, স্বপ্নসারথী, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু।
শুধু বঙ্গবন্ধুর নয় তিনি বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষদের ছবি আঁকেন লালন সাঁইজির, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, এমনকি সামনে বসে থাকা ব্যক্তির হুবহু পেন্সিল স্কেচ ছবিও তিনি আঁকানো খুব দক্ষতা ও নিপুণভাবে। চারু তারিনের হাতে তৈরি শাল-চাদর, পাঞ্জাবি, শাড়ি, ইত্যাদি দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা।
খুলনা বিভাগের প্রথম শ্রেণীর নারী উদ্যোক্তা চারু তারিন।
সমাজসেবা শিল্পকলা সহ অনেক জায়গাতে তিনি হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
ভবিষ্যতে তার নিজের প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে বৃহৎ ভাবে এই হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করতে চান চারু তারিন।
Leave a Reply