কর্মকর্তাদের অবহেলায়
কুষ্টিয়ার খাদ্য গুদামগুলোতে কোটি টাকার সম্পদ অগ্নি ঝুঁকিতে


অগ্নি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে কুষ্টিয়ার সরকারী খাদ্য গুদাম গুলো, নেই কোনো অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি, ফলে সরকারী কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকছে অগ্নি ঝুঁকিতে। উদাসীন কর্তাব্যক্তিরা,দূর্ঘটনা ঘটলে দায় নেবে কে?
সরোজমিনে কুষ্টিয়া শহরের দুটি খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায়,সেখানে জোর দমে চলছে চাল সংরক্ষণের কাজ।কুষ্টিয়া জগতী খাদ্য গুদামে ৮টি গোডাউন রয়েছে প্রত্যেক গোডাউনে ৫০০টন খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা আছে, কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, এখানে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা যন্ত্রপাতি নেই।সরকারী ভাবে প্রতিটি সরকারি ভবন বা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখা বাধ্যতামূলক হলেও কুষ্টিয়াতে অতি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি খাদ্য গুদামে নেই কোনো রকম অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এখানে কর্মরত ব্যাক্তিদের নিকট থেকে জানাগেলো,দীর্ঘ ৮/১০ বছর ধরে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই, ফায়ার সিলিন্ডার গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে স্টোর রুমে। এদিকে এসব বিষয় দেখার দায়িত্বে থাকা জগতী খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু শাহেদ মোঃ হুমায়ুন কবিরের সাথে কথা বললে তিনি প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, পরে তিনি নিজের দায়িত্ব স্বীকার করে বলেন,উচিৎ ছিলো আরও আগে পদক্ষেপ নেওয়া । অন্য দিকে শহরের অন্য প্রান্তে অবস্থিত বড়বাজার খাদ্য গুদামে গিয়ে একই চিত্র দেখা যায়, এখানকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন,আমি অল্পদিন হলো এখানে যোগদান করেছি,এ বিষয়ে আমি উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস,এম,তাহসিনুল হকের কাছে সার্বিক বিষয় টি নিয়ে কথা বললে তিনি প্রথমে সাফাই গাইতে গিয়ে বলেন,এখানে তেমন ভাবে অগ্নি নির্বাপক সিলিন্ডার বা যন্ত্রপাতি প্রয়োজন হয় না,যেহেতু গুদামঘরের ভিতরে বৈদ্যুতিক সংযোগ নাই তাই ঝুঁকি কম।তিনি আরও বলেন বিষয়টা যেহেতু সামনে এসেছে তাই দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অন্য দিকে গুদামে কাজ করা শ্রমিকদের সাথে খোলামেলা কথা বললে তারা জানান,এখানে শত শত ট্রাক আসছে চাউল আনলোড ও লোড করতে, প্রায় সব শ্রমিকরাই ধুমপান করে এখানে, তা ছাড়া আগুন লাগার অনেক কারন এখানে রয়েছে।
Leave a Reply